এই সময় একটি ঘটনা ঘটলো ‌ যেটা বলা যেতে পারে আমার জীবনে মোড় ভরিয়ে দিল। -কোন প্রসঙ্গে , কার উক্তি ? ঘটনাটি ব্যাখ্যা করো‌ । স্বর্ণপর্ণী গল্প || নবম শ্রেণী - Online story

Wednesday, 3 December 2025

এই সময় একটি ঘটনা ঘটলো ‌ যেটা বলা যেতে পারে আমার জীবনে মোড় ভরিয়ে দিল। -কোন প্রসঙ্গে , কার উক্তি ? ঘটনাটি ব্যাখ্যা করো‌ । স্বর্ণপর্ণী গল্প || নবম শ্রেণী

 




প্রশ্ন -'এইসময় একটি ঘটনা ঘটল, যেটা বলা যেতে পারে আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল । - কোন প্রসঙ্গে, কার উক্তি? এখানে ‘জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর/ 'স্বর্ণপণী' গল্প থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশটির বস্তা প্রোফেসর শঙ্কু। তিনি বাবার কাছে টিক্‌ড়ীবাবার আশ্চর্য কাহিনি শুনেছিলেন। নিশি
এরপর বাবার মৃত্যুর কয়েকদিন পরেই তিনি কসৌলি গিয়ে স্বর্ণপর্ণীর।(চরকসংহিতায় উল্লিখিত) সন্ধান পান। এরপর গিরিডিতে ফিরে এসে অর্ধমৃত জয়গোপাল মিত্রের উপর তা প্রয়োগ করলে ‘সোনেপত্তী'-র অবিশ্বাস্য গুণ সত্য বলে প্রমাণিত হয়। প্রোফেসর শঙ্কু এই সর্বরোগহর স্বর্ণপর্ণীর পাতার সাহায্যেই এবার মিরাকিউরল তৈরি করেন। ঠিক এই সময়ের একটি। ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি আলোচ্য প্রসঙ্গটির অবতারণা করেছিলেন।
|| বিখ্যাত ‘নেচার' পত্রিকার সূত্রে, ইংল্যান্ডের জীবতত্ত্ববিদ জেরেমি সন্ডার্স এবং প্রোফেসর শঙ্কুর মধ্যে পত্রবন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। সমবয়স্ক এই দুজন গুণী মানুষের ‘জীবনের মোড়’ ঘুরিয়ে অল্পদিনের মধ্যেই আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। বে
দেওয়া—অর্থ মাস আষ্টেক নিয়মিত চিঠি চালাচালির পর, এই হঠাৎ মাসখানেক সন্ডার্সের কোনো প্রত্যুত্তর না-পেয়ে শঙ্কু উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। এমন সময় তাঁর স্ত্রী ডরোথির চিঠি পেয়ে জানতে পারেন জেরেমি সন্ডার্স যকৃতের ক্যানসারে আক্রান্ত। এই নিদারুণ দুঃসংবাদ শুনে শঙ্কু এয়ারমেলের মাধ্যমে দশটি মিরাকিউরলের বড়ি পাঠান। এরপর ইংল্যান্ড থেকে দেড়মাস কোনো খবর না-পাওয়ায় শঙ্কু যখন মিরাকিউরলের ক্ষমতা সম্পর্কে সন্দিহান,তখনই সুস্থ ও রোগমুক্ত সন্ডার্স সশরীরে গিরিডিতে এসে হাজির হন। তিনি শঙ্কুর মুখে সব শুনে, তাঁকে নিয়ে ইংল্যান্ডে যান। সেখানে বৈজ্ঞানিক ও ডাক্তার মহলে বক্তৃতার পরে শঙ্কু এবং তাঁর আবিষ্কৃত মিরাকিউরলের খ্যাতি সংবাদপত্রের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। অধ্যাপক শঙ্কু আবিষ্কারক হিসেবে পরিচিতি পান,
একেই তিনি জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ঘটনা বলে চিহ্নিত করেছেন।