তোমার মহৌষধ বিশ্বের হীনতম প্রাণীর উপকারে আসবে ওটা আমি চাইনি চাইনি, প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। নবম শ্রেণী
![]() |
প্রশ্ন - 'তোমার মহৌষধ বিশ্বের হীনতম প্রাণীর উপকারে আসবে ওটা আমি চাইনি, চাইনি- প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এখানে কোন মহৌষধের কথা বলা হয়েছে লেখো। তিনি কী করেছিলেন?
উত্তর:- শঙ্কু প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভারততত্ত্ববিদ হাইনরিখ স্টেইনারকে প্রাণে বাঁচাতে হিটলারশাসিত জার্মানিতে যান। সেখানে অধ্যাপক স্টেইনারকে সুস্থ করে উপস্থিত বুদ্ধি ও কৌশল অবলম্বন করে গোয়ারিং-এর খপ্পর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে ইংল্যান্ডে ফেরেন। কিন্তু তাঁর
সর্বরোগনাশক মিরাকিউরল দুই নিষ্ঠুর নাতসি পাযণ্ডের রোগ সারল, এ দুঃখ শঙ্কু ভুলতে পারছিলেন না। বন্ধু সন্ডার্স এ কথা শুনে মৃদু হেসে প্রকৃত সত্যটা শঙ্কুর কাছে তুলে ধরে প্রশ্নে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছিলেন।
|| শঙ্কু যখন জেরেমি সন্ডার্সের স্ত্রী ডরোথির সঙ্গে হ্যাম্পস্টেড হীথ ও কবি জন কিটসের বাড়ি দেখতে গিয়েছিলেন, তখন সন্ডার্স বাড়িতেই থেকে যান। কারণ তাঁর একটি প্রবন্ধ লেখার প্রয়োজন ছিল। সেই সময় তিনি সতর্কতাবশত শঙ্কুর
বাক্স খুলে শিশি থেকে মিরাকিউরল বের করে মিরাকিউরল-কে কেন্দ্র সেখানে অব্যর্থ ঘুমের ওষুধ সেকোন্যালের করে ঘটা ঘটনা বড়ি ভরে দেন। সভার্সের এই দূরদর্শিতার কারণেই গোয়রিং আর এরিখ ফ্রোম মহৌষধের বদলে ঘুমের ওষুধ
খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে শঙ্কুও নীচ নাৎসিবাহিনীর কবল থেকে পালানোর পথ পেয়ে যান। এভাবেই সন্ডার্সের বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতায় শঙ্কুর তৈরি মহৌষধ নাতসিদের হাতের নাগালের বাইরেই থেকে গিয়েছিল।
