বসুধারে রাখে নেই ক্ষুদ্র খণ্ড করি। কে বসুধারে ক্ষুদ্র খন্ড করে রাখেনি? দ্বাদশ শ্রেণী বাংলা। প্রার্থনা কবিতা
![]() |
প্রশ্ন: 'দিবসশর্বরী' শব্দের অর্থ লিখে 'প্রার্থনা' কবিতায় উক্ত শব্দ প্রয়োগের প্রসঙ্গ লেখো।
উত্তর : "দিবসশরী' শব্দের অর্থ হল 'দিন-রাত', তবে 'প্রার্থনা' কবিতায় সর্বক্ষণকে দ্যোতিত করা হয়েছে উক্ত শব্দের মাধ্যমে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাচীন ভারতের মুক্তজ্ঞানচর্চার অনুরাগী। তিনি লক্ষ করেছেন বর্তমান ভারতবাসী জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে কারণ জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র এখানে সংকীর্ণতায় আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। জ্ঞানচর্চাকে দিন-রাত অর্থাৎ সর্বক্ষণ আপন প্রাজ্ঞাণকে ছাড়িয়ে বিশ্বমাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এই প্রসঙ্গেই কবি প্রার্থনা' কবিতায় দিবসশর্বরী' শব্দটি প্রয়োগ করেছেন।
প্রশ্ন: “বসুধারে রাখে নাই ক্ষুদ্র খণ্ড করি”-কে 'বসুধারে' ক্ষুদ্র খণ্ড করে রাখেনি?
উত্তর : প্রশ্নোকৃত অংশটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘প্রার্থনা' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে 'রাখে নাই’--এই ইঙ্গিতটি প্রাচীন ভারতবর্ষের প্রতি করা হয়েছে। কবি উপলব্ধি করেছেন প্রাচীন ভারতবর্ষে জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র। সংকীর্ণ চেতনার তুচ্ছ আচারের বালুকারাশি দ্বারা আবদ্ধ ছিল না। তৎকালীন বিদ্যাচর্চার ক্ষেত্রগুলি উদার। সমগ্র পৃথিবীকে কখনও আপন গৃহের প্রাচীরের মাধ্যমে গণ্ডিবদ্ধ করে রাখা হয়নি সেসময়। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল ভারতবর্ষের জ্ঞানচর্চার বার্তা। এখানে সেই প্রাচীন ভারতের কথাই বলা হয়েছে, যে বসুধারে ক্ষুদ্র খণ্ড করে রাখেনি।
