তুমি সর্বকর্ম চিন্তা আনন্দের নেতা। কবি কাকে উদ্দেশ্য করে কেন এরূপ উক্তি করেছেন আলোচনা করো। প্রার্থনা কবিতা দ্বাদশ শ্রেণী বাংলা।
![]() |
প্রশ্ন: “তুমি সর্ব কর্ম চিন্তা আনন্দের নেতা, কবি কাকে উদ্দেশ্য করে কেন এরূপ উক্তি করেছেন?
উত্তর : প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'প্রার্থনা' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে পরমেশ্বরের প্রতি কবি প্রশ্নের উক্তিটি করেছেন।
কবির প্রার্থনা পরমেশ্বর যেন ভারতীয়দের বন্ধচেতনায় আঘাত হেনে চিন্তার জড়তা থেকে, জ্ঞানচর্চার সীমাবদ্ধতা থেকে ভারতীয়দের মুক্ত করেন।
কারণ, পরম-পিতাই হলেন সকল প্রকার কর্ম-চিন্তা-আনন্দের নেতা। তিনিই পারবেন ভারতীয়দের সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত করে ভারতবর্ষকে স্বর্গসুখ প্রদানকারী রাজ্যে পরিণত করতে। তাই কবি পরমেশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রশ্নোদ্ভূত কথাগুলি বলেছেন।
প্রশ্ন: “ভারতেরে সেই স্বর্গে কর জাগরিত”– উদ্ধৃতাংশের অর্থ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : জ্ঞানসাধনা ও কর্মসাধনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করত প্রাচীন ভারতবর্ষ। জ্ঞানচর্চার বিকাশের দিকে দৃষ্টি রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশ ভারতবর্ষকে কুর্নিশ জানাত ভারতীয় জ্ঞানসাধনার উচ্চমার্গের কারণে। তবে বর্তমান ভারতবাসী
আর সেই গর্বের স্থানে নেই। জ্ঞানচর্চায় জড়তা ও গণ্ডিবদ্ধতা তাদের গ্রাস করেছে। তাই পরমেশ্বরের কাছে কবির প্রার্থনা, তিনি যেন আঘাতের মধ্য
দিয়ে ভারতবর্ষকে পূর্ব গৌরবে অধিষ্ঠিত করেন। অর্থাৎ জ্ঞানসাধনার সমুন্নত শিখরে ভারতীয়দের প্রতিষ্ঠিত করেন।
