প্রার্থনা কবিতায় ভারতীয়দের কর্মধারায় বৈশিষ্ট্য কিভাবে প্রকাশিত হয়েছে আলোচনা করো। দ্বাদশ শ্রেণী বাংলা
![]() |
প্রশ্ন: 'প্রার্থনা' কবিতায় ভারতীয়দের কর্মধারার বৈশিষ্ট্য কীভাবে প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর : ভারতীয়দের জ্ঞানচেতনা ও কর্মধারার কিছু বৈশিষ্ট্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “নৈবেদ্য' কাব্যের ৭২ নং কবিতা—'প্রার্থনা' কবিতায় কবির লেখনীতে ধরা পড়েছে। কবি লক্ষ করেছেন প্রাচীন ভারতে জ্ঞানচর্চা ক্ষুদ্রতার গণ্ডিতে আবদ্ধ ছিল না। সাহস ও বীর্যবত্তার পরিচয় তুলে ধরত প্রাচীন ভারতবর্ষ। কোনো ভয় বা প্রলোভনের কাছেই বিকিয়ে যায়নি প্রাচীন ভারতীয়দের পৌরুষ। দেশে দেশে দিকে দিকে সহস্রবিধ উপায়ে ছুটে চলত তাদের কর্মস্রোতধারা—এমনই গতিশীল ও প্রাণময় ছিল প্রাচীন ভারতের মানুষজন। তবে কবির মতে বর্তমান ভারতবর্ষ সেই গর্বের স্থানে নেই। নানা সংকীর্ণ চিন্তা, আচার-বিচারের গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়েছে ভারতীয়দের জ্ঞান। অলসতা আর বিচারবোধ হীনতা গ্রাস করছে তাদের চেতনাকে। যেন ভীরুতার সাধনায় লিপ্ত হচ্ছে তারা। এমনসব বৈশিষ্ট্যই কবি ভারতীয়দের মধ্যে লক্ষ
প্রশ্ন: “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির”– প্রসঙ্গসহ উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য আলোচনা করো।
উত্তর : প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নৈবেদ্য' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ৭২ নং কবিতা 'প্রার্থনা' থেকে নেওয়া হয়েছে। ঋষিকবি রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন ভারতীয়দের বীরত্ব, সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। সেই প্রসঙ্গে।
আলোচনা করতে গিয়েই কবি উদ্ধৃতিটি ব্যবহার করেছেন। বর্তমান ভারতীয়দের চিত্তলোকে নানা প্রকারের দীনতা দেখা দিয়েছে। সংস্কারের আবর্তে নিজেদের বেঁধে ফেলেছে ভারতীয়রা। ফলে চিত্তের ভয়শূন্যতা, উন্নত শিরে সাহসিকতার পরিচয় অনেকটাই যেন ম্লান হয়ে গেছে। মানবসমাজে সর্বদাই ঘটে চলেছে প্রতিকূল শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম। অন্যায় প্রতি মুহূর্তে বিপর্যস্ত করে তুলছে জীবনকে। সেই প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে সসম্মানে বেরিয়ে আসার জন্যই প্রয়োজন উন্নত শির ও ভয়হীন চিত্ত। মানসিক দৃঢ়তা এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজন, যা প্রাচীন ভারতবর্ষ দেখাতে সক্ষম হয়েছে বলে কবি মনে করেন। উদ্ধৃতাংশে কবির সেই ভারতের আকাঙ্ক্ষাই প্রতিফলিত হয়েছে।
