হলুদ পোড়া গল্পে কৈলাস ডাক্তারের চরিত্রটি সম্বন্ধে আলোকপাত করো। দ্বাদশ শ্রেণী
![]() |
প্রশ্ন:- কৈলাস ডাক্তারের চরিত্র সম্বন্ধে আলোকপাত করো।
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'হলুদ পোড়া' গল্পে যে কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের ও সেখানকার মানুষের অন্তর্ভাবনার ছবি তুলে ধরা হয়েছে - দাপুটে ব্যক্তি:- কৈলাশ ডাক্তার ওরফে ‘শা’ পুরের কৈলাশ ডাক্তার এক ব্যতিক্রমী চরিত্র। নিজক্ষেত্রে
তিনি যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত বলেই তিনি 'শা' পুরের কৈলাশ ডাক্তারে পরিণত হয়েছেন। তাঁর চেহারার অবয়ব ও কণ্ঠস্বর দেখেই বোঝা যায় তিনি একজন দাপুটে ব্যক্তিত্ব।
সত্যবাদী এবং চিত্ত :-আসলে তাঁর লড়াইটা ছিল দ্বিমুখী — একদিকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে রোগীকে সারিয়ে তোলা এবং অন্যদিকে কুসংস্কার, অজ্ঞতা, অশিক্ষার অন্ধকারে প্রায় ডুবে থাকা মানুষগুলিকে সচেতনতার আলোতে আনা ও রোগব্যাধি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাটুকু প্রদান করা। কৃঞ্জ যখন দামিনীকে নিয়ে অশরীরী আত্মা তাড়ানোকে কেন্দ্র করে নাটক জমিয়ে তুলেছে ঠিক তখনই মঞ্চে কৈলাশ ডাক্তারের প্রবেশ। জমকালো চেহারার একান্ত শরীর, একমাথা কাঁচাপাকা চুল, মোটা ভুরু আর মুখময় খোঁচা খোঁচা দাড়ি নিয়ে মানুষটি সেখানে এসেই ষাঁড়ের মতো গর্জন করতে করতে উপস্থিত দর্শনার্থীদের গালিগালাজ করতে থাকেন। এতে ভিড় হালকা হয়। এরপর কুঞ্জর গুণিনবিদ্যার অংশরূপে পড়ে থাকা আগুনের মালসাটা লাথি মেরে ছুঁড়ে দেন এবং কুঞ্জকে খুনের অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত করে ফাঁসিকাঠে ঝোলানোর হুংকারও দিতে থাকেন। দামিনীর সমস্ত বাঁধন খুলে তাকে ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে তিনি চিকিৎসা শুরু করে তাকে ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করে ঘুম পাড়িয়ে দেন। গল্পে তিনি কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করা একজন সামাজিক ব্যক্তিত্ব।
,
