স্বর্ণপর্ণী আবিষ্কারের যে-কাহিনি গল্পে রয়েছে, তা সংক্ষেপে নিজের ভাষায় লেখো। - Online story

Saturday, 22 November 2025

স্বর্ণপর্ণী আবিষ্কারের যে-কাহিনি গল্পে রয়েছে, তা সংক্ষেপে নিজের ভাষায় লেখো।

 





প্রশ্ন:- স্বর্ণপর্ণী আবিষ্কারের যে-কাহিনি গল্পে রয়েছে, তা সংক্ষেপে নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর - প্রোফেসর শঙ্কুর অত্যাশ্চর্য স্বর্ণপর্ণীর আবিষ্কারের পিছনে যে-দুজনের হাত ছিল, তাঁদের একজন পিতা প্রখ্যাত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু এবং আর-একজন হলেন
তাঁর কাছে হাঁপানির চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আসা জনৈক সাধক টিকড়ীবাবা। ডা. শঙ্কু টিকড়ীবাবার চিকিৎসা করলেও নিজে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। ত্রিপুরেশ্বরের এই শারীরিক সমস্যার কথা আশ্চর্যভাবে বুঝে ফেলে টিকড়ীবাবা বলেছিলেন, কালকা থেকে ৪৬ কিমি দূরে সাড়ে ছ-হাজার ফুট উঁচুতে কসৌলি শহর থেকে কিছুটা দূরে জঙ্গলের মধ্যে এক ভগ্ন চামুণ্ডা মন্দিরের পিছনে ঝরনার ধারে স্বর্ণপর্ণী নামে এক গাছ জন্মায়, যা সব অসুখ সারায়। টিড়ীবাবার মুখ থেকে ওই গাছের কথা জানা সত্ত্বেও ত্রিপুরেশ্বরবাবুর উপর ওই ওষুধ প্রয়োগ করা যায়নি, কারণ শঙ্কুকে এই ওষুধের ব্যাপারটি বলার কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি মারা যান।
|| বাবার অসুস্থতায় স্বর্ণপর্ণী ব্যবহার করতে না-পারলেও শঙ্কু কসৌলির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কালকা থেকে ট্যাক্সি করে কসৌলি যেতে শঙ্কুর আড়াই দিন লাগে। সেখানে গিয়ে একটি সস্তার হোটেলে ওঠেন। ম্যানেজার নন্দকিশোরের সাহায্যে একটা ঘোড়ার ব্যবস্থা হয়। এরপর ঘোড়ার মালিক ছোটেলালকে নিয়ে চামুণ্ডা মন্দিরের পাশ দিয়ে শঙ্কু গভীর জঙ্গলে ঢোকেন। এর মিনট পনেরোর মধ্যে তাঁরা ঝরনার শব্দ শুনতে পান। এই ঝরনার পাশেই তাঁরা দেখতে পান হলদে পাতায় ভরা একটা গাছড়া সূর্যের আলোয় তা ঝলমল করছে। এই গাছটাই যে ‘স্বর্ণপর্ণী' তা বুঝে নিতে শঙ্কুর অসুবিধা হয়নি।