কিন্তু আমার বড়ির অ্যানালিসিসের কি খবর? কিসের অ্যানালিসিসের কথা বলা হয়েছিল? অ্যানালিসিসের ফলে কি জানা গিয়েছিল ? স্বর্ণপর্ণী গল্প || নবম শ্রেণী
![]() |
প্রশ্ন - 'কিন্তু আমার বড়ির অ্যানালিসিসের কী খবর'- কীসের অ্যানালিসিসের কথা বলা হয়েছিল? অ্যানালিসিসের ফলে কী জানা গিয়েছিল? তা বক্তার মনে ‘মিশ্র ভাব' সৃষ্টি করেছিল কেন?
উত্তর/ জেরেমি সন্ডার্সের সঙ্গে ইংল্যান্ডে পৌঁছে প্রোফেসর শঙ্কু স্বর্ণপর্ণীর কেমিক্যাল অ্যানালিসিস বা রাসায়নিক বিশ্লেষণ করতে দিয়েছিলেন। সেই অ্যানালিসিস বা বিশ্লেষণের খবরই শঙ্কু জানতে চেয়েছিলেন।
|| রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল স্বর্ণপর্ণীতে সবরকম ভিটামিনই রয়েছে। এ ছাড়াও পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন,
আয়োডিন ইত্যাদিও ছিল, অনেকটা যেন মনে হয় রসুনের উপাদানের তালিকা। সন্ডার্সের মত ছিল,
অ্যালিল সালফাইড আছে বলেই বিভিন্ন রোগের জীবাণু এর কাছে সহজেই পরাস্ত হয়। তবে এই রিপোর্টের সবচেয়ে অর্থপূর্ণ কথাটি হল, এর মধ্যে এমন একটি উপাদান আছে, যার কোনো পরিচিতি রসায়নে নেই।
|| কেমিক্যাল অ্যানালিসিসের এই রিপোর্ট দেখে দুজনেই নিশ্চিত হন মিরাকিউরল কৃত্রিম উপায়ে গবেষণাগারে তৈরি করা যাবে না। এর ফলে শঙ্কুর মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মিরাকিউরল যে তাঁর একার সম্পত্তি এটা ভাবতে শঙ্কুর ভালো লাগে, কিন্তু কোটি কোটি মুমূর্ষু মানুষ এর রোগনাশক ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত হবে জেনে তাঁর মনখারাপ হয়।
