একজন মনীষীর ত্রাণকর্তা হতে পারলে তোর জীবন ধন্য হয়ে যাবে। -কোন প্রসঙ্গে এমন মনে হয়েছিল মনশ্রী? মনীষীর ত্রাণকর্তা কি বুঝিয়েছেন ? স্বর্ণপর্ণী গল্প || নবম শ্রেণী
![]() |
প্রশ্ন:- 'একজন মনীবীর ত্রাণকর্তা হতে পারলে তোর জীবন ধন্য হবে।'—কোন্ প্রসঙ্গে এমন মনে হয়েছিল? ‘মনীষীর ত্রাণকর্তা' বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর | বিভিন্ন সংবাদপত্রে শঙ্কুর মিরাকিউরলের খবর বেরনোয় দেশ-বিদেশে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। জার্মানির কাগজে এই আশ্চর্য ওষুধের খবর পড়েন ভারততত্ত্ববিদ হাইনরিখ। স্টাইনারের ছেলে নরবার্ট স্টাইনার। সেসময় কুখ্যাত গোয়ারিং-এর গেস্টাপো বাহিনীর বেপরোয়া প্রহারে তাঁর পিতা হাইনরিখ মুমূর্ষু-অর্ধমৃত অথচ জার্মানির সমস্ত হাসপাতালে তখন ইহুদিদের প্রবেশ নিষেধ তাঁদের ইহুদি গৃহচিকিৎসক প্রাণভয়ে গৃহবন্দি। এই অবস্থায় তিনি বাধ্য হয়ে বাবাকে বাঁচানোর আশা নিয়ে ইংল্যান্ডে এসে শঙ্কুর শরণাপন্ন হন। কিন্তু হিটলার শাসিত জার্মানিতে নাতসি পার্টির লোকেরা ছাড়া কেউ নিরাপদ নয় জেনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁর শঙ্কু জার্মানিতে যেতে চেয়েছিলেন, কারণ তাঁর মনে হয়েছিল বাবা বেঁচে থাকলে উপরোক্ত মন্তব্যটি করতেন।
|| অত্যাচারী একনায়ক হিটলারের ধারণা ছিল দীর্ঘকাল ধরে ইহুদিরা জার্মানির প্রভূত ক্ষতিসাধন করে আসছে। হিটলারের মতে,ইহুদিরা অসভ্য, হীন, লোভী, ধূর্ত ও বিবেকহীন। তাই তার ধারণা ছিল ইহুদিদের উৎখাত করতে পারলে তবেই জার্মানির পূর্ব গৌরব ফিরে আসবে। যে-সমস্ত জার্মানের শিরায় এক ফোঁটা ইহুদি রক্ত নেই,হিটলার একমাত্র তাঁদেরকেই মানুষ বলে মনে করতেন। এইসব অবাস্তব অজুহাত দেখিয়ে হিটলার ইহুদিনিধন শুধু করেছিলেন। সমস্ত জার্মানিজুড়ে ব্যাপক ধরপাকড়, প্রহার, হত্যা, সব উচ্চপদ থেকে ইহুদিদের সরিয়ে দেওয়া, যাবতীয় সুযোগসুবিধা বন্ধ করে দেওয়া—কোনোকিছুই হিটলারের অনায়ত্ত ছিল না। হিটলারশাসিত জার্মানিতে শত শত পীড়িত ইহুদির প্রতিভূ হয়ে ওঠেন হাইনরিখ স্টাইনার। ভারতপ্রেমিক এই সংস্কৃতজ্ঞ বিদ্বান মানুষটিকে তখন শঙ্কু ছাড়া আর কারও পক্ষেই বাঁচানো সম্ভব ছিল না।
