সন্ডার্সের হাত মুঠো করে ধরলাম । মুখে কিছু বলতে পারলাম না। সণ্ডার্সের হাত মুঠো করে ধরার কারন কি? কথক মুখে কিছু বলতে পারলেন না কেন ? স্বর্ণপর্ণী গল্প || নবম শ্রেণী
![]() |
প্রশ্ন:- ‘সন্ডার্সের হাতটা মুঠো করে ধরলাম—মুখে কিছু বলতে পারলাম না'—সন্ডার্সের হাত মুঠো করে ধরার কারণ কী? কথক মুখে কিছু বলতে পারলেন না কেন?
উত্তর:- ভারতপ্রেমিক সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত হাইনরিখ স্টাইনারের প্রাণ বাঁচাতে শঙ্কু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জার্মানির উদ্দেশে পাড়ি দেন। সেখানে মিরাকিউরলের গুণে অধ্যাপক স্টাইনার আরোগ্য লাভ করেন। কিন্তু শঙ্কু নাতসিদের সামরিক প্রধান গোয়রিং এবং তাঁর বাহিনীর খপ্পরে পড়েন। গোয়রিং-এর লক্ষ্য ছিল নিজের গ্ল্যান্ডের গোলমাল সারানো এবং মিরাকিউরলকে
নাতসিবাহিনীর কুক্ষিগত করা। নিরুপায় শঙ্কু ওষুধ দিতে বাধ্য হলেও, স্বপ্নে পাওয়ার গল্প ফেঁদে গোয়রিংকে স্টাইনারের প্যারিস যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাধ্য করেন। এরপর কয়েকটি চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে। মিরাকিউরল খেয়ে ক্রমে গোয়রিং ও এরিখ একে একে ঘুমিয়ে পড়েন। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সন্ডার্সের দেওয়া লুগার অটোম্যাটিকের সাহায্যে ড্রাইভারকে ভয় পাইয়ে শঙ্কু নিজেকে নাতসিদের কবলমুক্ত করেন। কিন্তু ইংল্যান্ডে ফিরেও তাঁর মন থেকে বিপরীত ভাবের দ্বন্দ্ব কাটছিল না। বিশেষত দুজন নরপিশাচ
মিরাকিউরলের গুণে চিরআরোগ্য লাভ করল, এই অনুভূতি তাঁর মনকে বিষিয়ে তুলছিল। তখন দূরদর্শী সম্ভার্সের কাছ থেকে মিরাকিউরলের বদলে ঘুমের ওষুধ ভরে দেওয়ার কাহিনি শুনে শঙ্কুর মন থেকে সমস্ত অন্ধকার ও অস্পষ্টতা দূর হয়। ঘুমের ওষুধে নরঘাতকদের বিন্দুমাত্র উপকার হবে না বুঝে, অভিভূত হয়ে তিনি সন্ডার্সের হাত মুঠো করে ধরেন।
|| আমরা গল্পের এই অংশে জেরেমি সন্ডার্সের বিচক্ষণতা, বুদ্ধিমত্তা এবং দূরদর্শিতার যে-পরিচয় পাই,তার জন্য কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। তাঁর
গুণে শঙ্কুর বাকরোধ দেওয়া ঘুমের ওষুধ যেমন শঙ্কুকে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে তেমনই সন্ডার্সের রিভলভারও বিপদের সময় | পিছ
কাজে দিয়েছে। বন্ধুর প্রতি এই আন্তরিক ভালোবাসা, একাত্মবোধ এবং সমমর্মিতা ভাষায় প্রকাশ না-করে হৃদয়ে অনুভব করার বিষয়, তাঁর তাই শঙ্কু মুখে কিছু বলতে পারেননি।
