সোনেপত্তীর শুনেছিস? - কে কিভাবে সোনেপত্তীর সন্ধান পেয়েছিল ? এবং তার ফল কি হয়েছিল? স্বর্ণপর্ণী গল্প || নবম শ্রেণী
![]() |
প্রশ্ন:- 'সোনেপতীর নাম শুনেছিস?—কোন্ প্রসঙ্গে কার এই উক্তি? কে, কীভাবে 'সোনেপত্তী'-র সন্ধান পেয়েছিলেন? তার ফল কী হয়েছিল ?
উত্তর :- গিরিডির স্বনামধন্য সাধু টিক্ড়ীবাবা শিষ্যদের অনুরোধে শ্বাসকষ্টের উপশমের জন্য সুচিকিৎসক ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কুর কাছে আসেন। সেখানে এসে সাধু তাঁর আশ্চর্য ক্ষমতাবলে ত্রিপুরেশ্বরের হার্টব্লকের অসুস্থতার কথা টের পান। এই রোগ নিরাময়ের প্রসঙ্গে
তিনি সোনেপত্তী বা চরকসংহিতায় উল্লিখিত স্বর্ণপর্ণীর কথা বলেছিলেন। এখানে উল্লেখ্য টিকড়ীবাবার গুরু তাঁকে এর সাহায্যেই কঠিন পান্ডুরোগের হাত থেকে উদ্ধার করেছিলেন।
'সোনেপত্তী'-র সন্ধান
|| টিকড়ীবাবার মতে, কসৌলি থেকে তিন ক্রোশ উত্তরে চামুণ্ডা মন্দিরের পিছনে, ঝরনার পাশেই স্বর্ণপর্ণী বা সোনেপত্তীর গাছ গজায়। বাবার মুখে এই বিস্ময়কর কাহিনি শুনে প্রোফেসর শঙ্কু অসুস্থ মানুষটির আরোগ্যের আশায় কসৌলি রওনা হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু আশঙ্কা করেছিলেন, তার হাতে আর অতদিন সময় নেই। এই ঘটনার দিন দুয়েক পরে হার্টব্লকেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর বাবার শ্রাদ্ধের কাজকর্ম মিটিয়েই সময় নষ্ট না-করে, প্রোফেসর শঙ্কু কসৌলি রওনা হন। সেখানে তিনি চামুণ্ডা মন্দিরের পিছনের জঙ্গলে ঝরনার পাশেই স্বর্ণপর্ণীর সন্ধান পান। শিকড়সমেত স্বর্ণপর্ণীর সেই একটিমাত্র নমুনা সংগ্রহ করে তিনি গিরিডিতে ফিরে আসেন।
|| শঙ্কু স্বর্ণপর্ণীর এই হলুদ পাতাকে কাজে লাগিয়েই সর্বরোগনাশক বড়ি মিরাকিউরল তৈরি করেন, যা তাঁর জীবনের প্রথম আবিষ্কার। যদিও এর কৃতিত্ব তিনি কখনোই একা দাবি করেননি।
