নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারলে আমি শান্তি পাবো না । বক্তাকে? কোন প্রসঙ্গে তিনি এই উক্তি করেছেন ? স্বর্ণপর্ণী || নবম শ্রেণী - Online story

Wednesday, 22 October 2025

নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারলে আমি শান্তি পাবো না । বক্তাকে? কোন প্রসঙ্গে তিনি এই উক্তি করেছেন ? স্বর্ণপর্ণী || নবম শ্রেণী

 


প্রশ্ন -‘নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারলে আমি শান্তি পাব না। -বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে তিনি এই উক্তি করেছিলেন ?
এই উক্তির আলোকে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিকটি ফুটে উঠেছে ?

উত্তর :- প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু।
|| নিজের বৃষ্টিভেজা জন্মদিনে অলসভাবে বাড়ির বৈঠকখানার আরামকেদারায় বসে তিনি নিজের শৈশব ও যৌবনের স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন। শঙ্কু ছাত্র হিসেবে ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। তাই মাত্র বারো বছর বয়সেই তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এরপর ধাপে ধাপে তিনি আইএসসি আর ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রিতে অনার্স নিয়ে বিএসসি পাস করেন। তিনি জীবনে কখনও দ্বিতীয় হননি। এইভাবে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে পরীক্ষার পাট চুকিয়ে শঙ্কু গিরিডিতে
ফিরে আসেন। তাঁর বাবার খুব ইচ্ছা ছিল বিজ্ঞানের এই মেধাবী ছাত্রটি বছর চারেক শিল্প-সাহিত্য-দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করুক। একই সঙ্গে তিনি শঙ্কুকে এও জানিয়েছিলেন, তাঁর জীবনের সমস্ত সঞ্চয়ের একটা অংশ লোকহিতকর কাজে ব্যবহৃত হলেও, বাকি সবটুকুই শঙ্কর। সুতরাং শঙ্কু চাকরি না- করে শুধু গবেষণার কাজ নিয়েই মগ্ন থাকতে পারেন। শঙ্কু বাবার প্রথম প্রস্তাবে রাজি হলেও, দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে তাঁর মন থেকে সায়য়ছিল না বলেই, উপরোক্ত মন্তব্যটি করেন।
|| প্রোফেসর শঙ্কুর ব্যক্তিত্বের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আত্মসম্মানবোধ এবং স্বাবলম্বনের আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটেছে এই বক্তব্যের মাধ্যমে। তাই নিজের পায়ে দাঁড়ানো; একদিকে যেমন স্বনির্ভর হওয়ার ইচ্ছা, অন্যদিকে তেমনি স্বতন্ত্র আত্মপরিচয়
গড়ে তোলার অঙ্গীকারও বটে। এই উভয়ক্ষেত্রেই তিনি সফল হয়েছিলেন।