আজ বিচারের দিন নয় , সৌহার্দ্য স্থাপনের দিন । উক্তিটি কার ? উক্তিটির বক্তব্য পরিস্ফুট করো।। সিরাজদৌল্লা নাটক || দশম শ্রেণী
![]() |
প্রশ্ন:-" বিচারের দিন নয়, সৌহার্দ্য স্থাপনের দিন।"-কার উক্তি। উক্তিটির বক্তৃব্য পরিস্ফুট করো।
অথবা, 'আজ বিচারের দিন নয়, সৌহার্দ্য স্থাপনের দিন - কার উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য পরিস্ফুট করো।
অথবা, 'আজ বিচারের দিন নয়, সৌহার্দ্য স্থাপনের দিন ।"- কে, কাকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলে। প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কথাটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
উত্তর শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের 'সিরাজদ্দৌলা' নাট্যাংশে নবাব সিরাজ উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন মীরজাফরকে উদ্দেশ্য করে।
॥ সিরাজ বাংলার মসনদে বসার মাস দুয়েকের মধ্যেই ইংরেজদের কাশিমবাজার কুঠি দখল করেন এবং কলকাতা থেকে তাদের বিতাড়িত করেন। কিছুদিন পরে রবার্ট ক্লাইভ মাদ্রাজ থেকে কলকাতায় ফিরে পুনরায় তা দখলে আনেন।
সে সময় পরিস্থিতির চাপে সিরাজ; ইংরেজদের সঙ্গে আলিনগরের সন্ধির মাধ্যমে মীমাংসা করেন। কিন্তু স্বাধীনচেতা সিরাজকে সরানোর জন্য ইংরেজরা গোপনে গোপনে নানারকম চক্রান্ত শুরু করে। মীরজাফর, রায়দুর্লভ, রাজবল্লভ ও জগৎশেঠদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নবাবকে উৎখাত করার নীল নকশা রচিত করে। এ সম্পর্কিত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে মীরজাফরের ষড়যন্ত্রমূলক গোপন চিঠি নবাবের হস্তগত হয়। কিন্তু পারস্পরিক দোষ-ত্রুটি ভুলে তিনি সকলকে একত্রিত করে বহিঃশত্রু ইংরেজকে পর্যুদস্ত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল অন্যায় উভয় পক্ষেরই হয়েছে, তবে এখন বিচারের পরিবর্তে অন্তরের সৌহার্দ্য স্থাপন বেশি জরুরি। এই বিশ্বাস ও আবেগের বশবর্তী হয়েই নবাব সিরাজ সকলের কাছে এরূপ অনুরোধ করেছিলেন।
