আমরা নবাবের নিমক বৃথাই খাই না। একথা তাদের মনে রাখা উচিত ।-নিমক খাওয়ার তাৎপর্য কি ? উক্তি থেকে বক্তার চরিত্রে কোন পরিচয় পাওয়া যায়? সিরাজদৌলা নাটক || দশম শ্রেণী - Online story

Tuesday, 30 September 2025

আমরা নবাবের নিমক বৃথাই খাই না। একথা তাদের মনে রাখা উচিত ।-নিমক খাওয়ার তাৎপর্য কি ? উক্তি থেকে বক্তার চরিত্রে কোন পরিচয় পাওয়া যায়? সিরাজদৌলা নাটক || দশম শ্রেণী

 



প্রশ্ন:- "আমরা নবাবের নিমক বৃথাই খাই না। একথা তাদের মনে রাখা উচিত।"- নিমক খাওয়ার তাৎপর্য কি? উক্তিটি থেকে বক্তা চরিত্রে কোন পরিচয় পাওয়া যায়?

উত্তর:; শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের 'সিরাজদ্দৌলা' নাটকে উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা সিরাজের একান্ত বক্তা সিরাজের একান্ত অনুগত ও বিশ্বস্ত সহচর  মীরমদন। নিমক খাওয়ার অর্থ হলো- কারো অন্নে প্রতিপালিত হওয়া। তিনি সিরাজের বেতন ভোগ কর্মচারী।। তাই তার প্রতি অনুগত্য প্রদর্শনই যথার্থ সে- কথা বোঝাতেই উক্তিটি অবতারণা করা হয়েছে।

॥ মীরমদন তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হননি। তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
সৎ > : তিনি সৎ ও চরিত্রবান সৈনিক। তাই রাজদরবারের সংখ্যাগরিষ্ঠের দুর্নীতি তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না।
>> দৃঢ়চেতা : তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র ও পরিশীলিত হওয়া সত্ত্বেও স্থানবিশেষে কাঠিন‍্য প্রদর্শন করতেও পিছপা হন না। তাই সর্বসমক্ষে মীরজাফরকে অপ্রিয় সত্য কথাটি বলতে তিনি দ্বিধাবোধ করেননি। এ তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তার দৃষ্টান্ত।
> অনুগত -নবাবের প্রতি মীরমদনের আনুগত্য প্রশ্নাতীত। বীর মীরমদন নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন। তাই নবাবের অন্য সভাসদদের নবাবের
প্রতি দুর্ব্যাবহার ও স্পর্ধা লক্ষ করে, তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রুখে দাঁড়ান।
কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা ও আনুগত্য মীরমদনের চরিত্রে একইসঙ্গে এনে দিয়েছে নম্রতা, দৃঢ়তা এবং বিশ্বস্ততাবোধ।