তুমি আমার প্রতি তোমার অন্তরের প্রীতির পরিচয় দিয়েছো ।- কে কার প্রতি প্রীতির পরিচয় দিয়েছেন ? কিভাবে তিনি প্রীতির পরিচয় দিয়েছেন ? || সিরাজদৌলা নাটক || দশম শ্রেণি
![]() |
প্রশ্ন: “তুমি আমার প্রতি তোমার অন্তরের প্রীতিরই পরিচয় দিয়েচ।—কে, কার প্রতি প্রীতির পরিচয় দিয়েছেন? কীভাবে তিনি প্রীতির পরিচয় দিয়েছেন?
উত্তর: শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত ‘সিরাজদ্দৌলা' নাটক থেকে উদ্ধৃতিটি গৃহীত। ফরাসি প্রতিনিধি মঁসিয়ে লা নবাবের প্রতি যে-আন্তরিক প্রীতির পরিচয় দিয়েছেন সে-কথাই নবাব বলেছেন।
|| ফরাসি ও ইংরেজদের মধ্যেকার পুরোনো শত্রুতার জন্য সিরাজকে অন্ধকারে রেখে ইংরেজরা চন্দননগর আক্রমণ করে ও অধিকার নেয় এবং ফরাসিদের বাণিজ্যকুঠিগুলি অধিগ্রহণের দাবি তোলে। ইংরেজদের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফরাসিরা নবাবের দ্বারস্থ হন। কিন্তু কলকাতা জয় এবং শওকতজঙ্গের সঙ্গে যুদ্ধে লোকবল, অর্থবল কমে যাওয়ায় নবাব আর নতুন করে ইংরেজদের সঙ্গে শত্রুতা না বাড়িয়ে নিরপেক্ষ থাকতে চান। তখন ফরাসি
প্রতিনিধি মঁসিয়ে লা নবাবকে জানান বাধ্যত ভারতবর্ষ ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই তাদের কাছে। যাওয়ার আগে।মংঁসিয়ে লা সিরাজকে সাবধান করে বলেন যে, তারা ভারত ছাড়লেই ইংরেজরা সর্বশক্তি নিয়ে তাঁর সাম্রাজ্য ধ্বংস করতে ঝাপিয়ে পড়বে। মসিয়ে লা-র কথা আন্তরিক ও সত্যতাপূর্ণ ছিল,
তাতে নবাবের মনে কোনো সন্দেহ ছিল না। তাই তিনি বন্ধুভাবাপন্ন ও শুভাকাঙ্ক্ষী মসিয়ে লা-র স্মৃতি মনের মণিকোঠায় চিরদিন উজ্জ্বল হয়ে থাকার কথা বলেন। উদ্ধৃত বক্তব্যে সিরাজের সেই মনোভাবই ব্যক্ত হয়েছে।
