"গাছে অনেক দূর উঠে গেছি । মই কেড়ে নিলে নামতে পারব না'।-গাছে উঠে যাওয়ার বলতে বক্তা কি বুঝিয়েছেন? মই কেড়ে নেয়া প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে কেন? কোনি || গল্প দশম শ্রেণী
![]() |
প্রশ্ন:- 'গাছে অনেক দূর উঠে গেছি। মই কেড়ে নিলে নামতে পরব না। -'গাছে উঠে যাওয়া' বলতে বক্তা কী বুঝিয়েছেন? এখানে 'মই কেড়ে নেওয়া'-র প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে কেন ?
উত্তর:--সাহিত্যিক মতি নন্দীর 'কোনি' উপন্যাসের উদ্ধৃতাংশে ‘গাছে উঠে যাওয়া' শব্দটির অর্থ অনেকটা এগিয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে বক্তা বিষ্টুচরণ অনেক অর্থের মালিক হলেও তার বাস্তব বুদ্ধি ছিল একটু কমজোরি। তার প্রবল ইচ্ছে ছিল এম এল এ বিনোদ ভড়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াই করা। বিটুচরণ ক্ষীতীশকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করত। ক্ষিতীশ বিষ্টুচরণের পরামর্শদাতা হয়ে ওঠে। তার ভরসাতেই বিষ্টুচরণ নির্বাচনে লড়াই করতে নেমে পড়ে। ক্ষিতীশ তার বক্তৃতা লিখে দেওয়া, বুদ্ধি জোগানোর মতো কাজগুলি করে দিতেন। ক্ষিতীশ তাকে বোঝান যে, বিনোদ ভড় যে যে অর্গানাইজেশনে আছে, তার পাল্টাগুলোয় ঢুকতে হবে। তাই ক্ষিতীশের সহযোগিতায় বিনোদ ভড়ের জুপিটার ক্লাবের বিপক্ষ অ্যাপোলো ক্লাবের সভাপতি হওয়ার জন্য সে মুখিয়ে ওঠে এবং সাত হাজার টাকা অনুদানের অঙ্গীকারও করে বসে। বিষ্টুচরণ একেই ‘গাছে ওঠা' বলেছে।
II 'মই কেড়ে নেওয়া'-র অর্থ কোনো কাজে এগিয়ে দিয়ে পিছন থেকে সরে যাওয়া। ক্ষিতীশ বিষ্টুচরণকে জানান, অ্যাপোলোর প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য তাকে ডোনেশন বাবদ দু-হাজার টাকা আর কোনির একটা সাঁতারের পোশাক বাবদ একশো টাকা খরচ করতে হবে। সেইসঙ্গে সেলামি বাবদ লীলাবতীর দেওয়া পাঁচ হাজার টাকাও ফেরত দিতে হবে। না-হলে তিনি বিচরণের জন্য বক্তৃতা লিখে দেবেন না। তখন একদিকে আর্থিক ক্ষতি ও অন্যদিকে বিচরণের বক্তৃতা
না-লিখে দেওয়ার হুমকির মাঝে দাঁড়িয়ে বিষ্টুচরণ এমন উক্তি করেছে।