মুখ্য জোয়ার এবং গৌণ জোয়ার এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।
প্রশ্ন:- মুখ্য জোয়ার এবং গৌণ জোয়ারের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর;- মুখ্য জোয়ার এবং গৌণ জোয়ারের মধ্যে পার্থক্য। মুখ্য জোয়ার এবং গৌণ জোয়ারের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল—
অবস্থান:;
পৃথিবীর যে স্থান চাঁদের সামনে থাকে সেখানে মুখ্য জোয়ার হয়।
> মুখ্য জোয়ারের প্রতিপাদ বা বিপরীত স্থানে গৌপ জোয়ার হয়।
সৃষ্টির কারণ | মুখ্য জোয়ার মূলত চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে সৃষ্টি হয়।
> গৌণ জোয়ার পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ এবং জলভাগ ও স্থলভাগের সরণের পার্থক্যের জন্য সৃষ্ট হয়।
প্রাবল্য ওজলস্ফীতি- চাঁদের আকর্ষণে হয় বলে মুখ্য জোয়ারের প্রাবল্য ও জলস্ফীতি
জলস্ফীতি অনেক বেশি হয়।
> গৌণ জোয়ারের প্রাবল্য ও জলস্ফীতি অনেক কম হয়।
প্রশ্ন :- জোয়ারভাটা নদীর নাব্যতাকে কীভাবে প্রভাবিত করে?
উত্তর;- নদীর নাব্যতার ওপর জোয়ারভাটার প্রভাব: নদীর নাব্যতার ওপর জোয়ারভাটার প্রভাবগুলি হল -
(১) সঞ্চিত পলি অপসারণ: জোয়ারের সময় সমুদ্রের জল নদীর মধ্যে প্রবেশ করলে নদীখাতে সহিত পলি অপসারণ করে নদীর নাব্যতা
করে।
(২) জলের পরিমাণ বৃদ্ধি: জোয়ারের ফলে নদীতে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে বড়ো বড়ো জাহাজ মালপত্র নিয়ে নদীবন্দরে প্রবেশ করতে পারে। আবার ভাটার সময় জাহাজগুলি নদীবন্দর থেকে সমুদ্রে ফিরে যেতে পারে।
(৩) আবর্জনামুক্ত নদীখাত: ভাটার টানে নদীর পলি ও আবর্জনা সমুদ্রে গিয়ে পড়লে নদীখাত গভীর হয়। অবশ্য কিছু ক্ষেত্রে জোয়ারের
জালের মাধ্যমে আসা পলি জমে নদীগর্ভ অগভীরও হয়ে যায়।