ল্যান্ডফিল্ড অথবা ভরাটকরন বলতে কী বোঝো
প্রশ্ন;- ভরাটকরণ কী?
অথবা, ল্যান্ডফিল বলতে কী বোঝ ?
উত্তর- ভরাটকরণ বা ল্যান্ডফিল : কোনো উন্মুক্ত নীচু জায়গা বর্জ্য পদার্থ দ্বারা ভরাট করার পদ্ধতিকে ল্যান্ডফিল বা ভরাটকরণ বলে। সংগ্রহ করা বর্জ্য পদার্থকে নষ্ট করতে ভরাটকরণ বা স্যানিটারি ল্যান্ডফিল (sanitary landfill) খুব গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।
প্রক্রিয়া: 1 এই পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনার জৈব অংশকে আলাদা করে একটি স্তরে বিছিয়ে দেওয়া হয়। ওই জৈব স্তরের
উচ্চতা 2 মিটারের মতো হয়।
( 2)এর ওপর 20-25 সেমি মাটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এইভাবে এক স্তর কঠিন জৈব বর্জ্য এবং এক স্তর মাটি দিয়ে ক্রমান্বয়ে অনেকগুলি স্তর তৈরি করা হয়।
( 3) তবে সবার ওপরে থাকে একটি পুরু মাটির স্তর, যাতে ইঁদুর জাতীয় কোনো প্রাণী এতে সরাসরি গর্ত করতে না পারে।
পচন : মাটির নীচে থাকা বর্জ্যগুলি জৈব ভঙ্গুর বলে এদের পচন হয় এবং তার ফলে এগুলির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব ধর্মের পরিবর্তন ঘটে।
ল্যান্ডফিল গ্যাস সৃষ্টি : এই প্রক্রিয়া চলার সময় মিথেন, অ্যামোনিয়া প্রভৃতি গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই গ্যাসগুলিকে ল্যান্ডফিল গ্যাস বলে।
জমি ভরাটকরণ: 4-6 মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হয় এবং তখন
অবশিষ্ট হিসেবে যা পড়ে থাকে, সেগুলি দিয়ে নীচু জমি ভরাট করা হয়। পূর্ব কলকাতার ধাপায় এই পদ্ধতিতে নীচু জমি ভরাট করে উর্বর
কৃষিজমি তৈরি হয়েছে।
সুবিধা : এই পদ্ধতিটির সুবিধা হল বর্জ্য।পদার্থগুলি মাটি দিয়ে ঢাকা থাকে বলে বর্জ্যজাত দূষণে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।
অসুবিধা: অসুবিধা হল একই জায়গায় বর্জ্যগুলি জমে থাকার ফলে বৃষ্টি হলে তা থেকে নোংরা দূষিত জল চুইয়ে চুইয়ে আশেপাশের জলাশয়েও ভূগর্ভস্থ জলস্তরে মিশে পানীয় জলের দূষণ ঘটাতে পারে। বর্জ্য ধোয়া ওই দুষিত জলকে লিচেট বলে।