পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে | পঞ্চম শ্রেণির বাংলা | হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে
লেখক অজ্ঞাত
হাতে-কলমে প্রশ্নের উত্তর
১. নিজের ভাষায় লেখো।
১.১ যে-কোনো একটি পাহাড়ের নাম লেখো।
উত্তর- পশ্চিমবঙ্গেরএকটি পাহাড়ের নাম মামা-ভাগনে।
১.২ পাহাড়ের কথা বললেই কোন ছবি তোমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে?
উত্তর-পাহাড়ের কথা বললেইকবির দার্জিলিংয়ের ছবি আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
১.৩ বর্ষার মাছধরা নিয়ে তোমার অভিজ্ঞতার কথা কিংবা মাছ ধরা নিয়ে তোমার পড়া একটি গল্প বা ছড়া দেখো।
উত্তর;-বর্ষা কালে নদীতে প্রায় সব জায়গাতেই জল খুব বেড়ে যায়। আমার বাবা মাছ ধরতে ভালোবাসেন। এরকমই আমার বাড়ির সামনে যে পুকুর আছে তাতে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। মাছ ধরার ছিপ এবং মাছের খাবার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম। ছোটো বড়ো বেশ কয়েকটা মাছও ধরেছিলাম।
১.৪ বর্ষার প্রকৃতির রুপ কেমন হয়?তোমার পাঠ্য বইতে বর্ষা নিয়ে আর কোন কোন লেখা রয়েছে?
উত্তর-
বর্ষার রুপ খুব সুন্দর। গ্ৰীস্মের পর বর্ষার নতুন জল পেয়ে গাছপালা, প্রকৃতি যেন নতুন করে সেজে ওঠে।
এইসময় আকাশ বেশির ভাগ সময় ভালো মেঘে ঢাকা থাকে। নদী, পুকুর, খাল-বিল কানায় ভরে যায়। ফলে জল পথে যাতায়াত করতে সুবিধা হয়। রাস্তা ঘাট কাদায় ভরে যায়।
পাঠ্য বইতে বর্ষা নিয়ে' টাপুর টুপুর' লেখা রয়েছে।
২.বাক্য মেলাও।
উত্তর-
চল মাছ ধরি গিয়ে > নূতন বছরের নূতন জলে।
মাছ রাঙা বারবার> ছৈঁ মেরে পাইনি মাছ।
কুরুয়া পাখি >উড়ে উড়ে কাঁদছে
বকেরা > উড়ছে সার বেঁধে
ছাপিয়ে গিয়েছে > নদীর কুল
৩. প্রদত্ত সূত্র অনুসারে গানটি থেকে গল্প তৈরি করো :
নতুন বছরের নতুন জলে আনন্দ করে ........। বর্ষার এই সুন্দর প্রকৃতিতে......। মাঠ ঘাট, কত পাখি, যেমন
........I তারা কেউ। একদিকে মাছ না পাওয়া গেলে.......।
উত্তর ঃ নতুন বছরের নতুন জলে আনন্দ করে সকলে মাছ ধরতে যেতে চাইছে। বর্ষার এই সুন্দর প্রকৃতিতে নদীর দুকুল জলে ছাপিয়ে গেছে। মাঠ ঘাট, কত পাখি, যেমন কুরুয়া, বক, মাছরাঙা তারা কেউ খাবার পাচ্ছে না। একদিকে মাছ না পাওয়া গেলে তারা অন্যদিকে খাবারে সন্ধানে যাচ্ছে।
৪. কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানে তুমি খুব হৈচৈ আনন্দ করেছ আর মজা পেয়েছ। কী কী করলে সেই দিন তা
দিনলিপির আকারে খাতায় লেখো ঃ
উত্তর : দিনলিপি তারিখ : ২০ মে ২০২১
আজ আমাদের বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছেলেমেয়েরা বকখালিতে বনভোজনে গিয়েছিলাম। সকাল ৮টায় একটি বড়ো বাসে চড়ে আমরা রওনা হলাম। বাসের মধ্যে রান্নার সরঞ্জাম, মাইক, শতরঞ্জি সবই রাখা হয়েছিল। শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্রছাত্রী মিলে আমরা সংখ্যায় ছিলাম প্রায় ৫০ জন। আমাদের সঙ্গে ২ জন পাচক ছিল। বকখালিতে কত পশু পাখি দেখেছি। বোটে চড়েছি। নাচ-গান করেছি। সমুদ্র সৈকতে খেলাধূলা করেছি। আমাদের কয়েকজন তরকারি কেটেদিয়েছে। রান্নার শেষে শতরঞ্জি পেতে সবাই খেতে বসি। মাছ, মাংস, তরকারি দারুণ স্বাদ হয়েছে। কত গাছগাছালি, বাহারি ফুলের বাগান। খুব আনন্দ উপভোগ ও শিক্ষালাভ করেছি। আগামী দিনে আবার আমরা একসঙ্গে বনভোজনে যাওয়ার ইচ্ছা রাখি।
৫. মূল লেখাটা অন্য ভাষায়, কিন্তু নিজের ভাষায় তুমি পড়েছ আর দারুণ লেগেছে, এমন দুটি লেখার নাম করো :
উত্তর : এডোয়ার্ড লিয়ারের লিমেরিক, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের শকুন্তলা।
৬. একটি বৃষ্টির দিনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি লেখো :
উত্তর :
প্রিয় অর্ক
তারিখ : ১২ জুন, ২০২১
আশাকরি ভালো আছিস। অনেকদিন তোর কোনো চিঠি পাইনি। গতকাল আমাদের এখানে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন বাদে বৃষ্টি হওয়ার জন্য খুব ভালো লাগছিল। আমি গতকাল স্কুলে যাইনি। সারাদিন বাড়িতেই ছিলাম। বাড়িতে বসে বৃষ্টি দেখতে বেশ লাগছিল। বাড়ির সামনে বেশ কিছুটা জল জমেছিল, আমি তাতে কয়েকখানা কাগজের নৌকা তৈরি করে ছেড়েছিলাম। মা খিচুড়ি আর মাছ ভাজা করেছিলেন। তোর কথা খুব মনে পড়ছিল। যা হোক গতকাল বেশ আনন্দেই দিনটা কেটেছে।
সময় পেলে আমাদের বাড়ি আসিস। ভালো থাকিস। তুই আমার ভালোবাসা নিস, বড়োদের আমার প্রণাম জানাস।
ইতি
কাজল
অর্ক ঘোষ
গ্রাম : দিসপুর, পোঃ নবগ্ৰাম
জেলা : পূর্ব বর্ধমান
৭. এমন একটি ছবি আঁকো, যার মধ্যে কবিতার এই জিনিসগুলো থাকবে :
নদীর কূল, জল থৈথৈ মাঠ, বকের সারি, মাছরাঙা, ছেলেমেয়ের দল।
উত্তর :
৮. কথায় বলে 'মাছে-ভাতে বাঙালি'। সেই বাঙালির পরিচয় গানটিতে কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তর : কথায় বলে 'মাছে-ভাতে বাঙালি'। সেই বাঙালির পরিচয় আমরা গানটির মধ্যেও পেয়ে থাকি। বর্ষার সময় নদীর দুকুল জলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রতিটি বাঙালিই প্রায় মাছ ধরতে বা বাজার থেকে মাছ কিনতে ভালোবাসে। তাই বর্ষার নতুন জলে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য তারা ব্যস্ত হয়ে হয়ে পড়ে। খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা দারুণ লাগে।
৮.১ বৃষ্টি কীভাবে প্রকৃতিকে বাঁচায় ?
উত্তর : বৃষ্টি প্রকৃতিকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলে। গ্রীষ্মের পর আসে বর্ষা। এই বর্ষার জলে গাছপালা যেন নতুন প্রাণ ফিরে পায়। সমস্ত ধুলো ময়লা বৃষ্টির নতুন জলে ধুয়ে প্রকৃতি এক নবরূপ ধারণ করে।
৮.২ 'খরা' বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : খরা বলতে বোঝায় অনাবৃষ্টি। এই অনাবৃষ্টির ফলে মাঠ-ঘাট সব শুকিয়ে যায়। চাষের জমি জলের অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে যায়। মানুষ, পশু, গাছপালা এদের প্রত্যেকেরই বেঁচে থাকা যন্ত্রণাদায়ক হয়ে পড়ে।
৮.৩ অনাবৃষ্টির ফলে গল্পে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালার অবস্থা কেমন হয়েছিল ?
উত্তর : অনাবৃষ্টির ফলে গল্পে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা সবই প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
৮.৪ ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছে ব্যাং কী দেখল ?
উত্তর : ব্যাং দেখল সেখানে সকলে নানান ভোজ ও আনন্দ উৎসবে ব্যস্ত। সেখানে স্ত্রী ও মন্ত্রীরাও বেশ মহানন্দে রয়েছে।
৮.৫ প্রাসাদের দৃশ্য দেখে ব্যাং রাগে উত্তেজিত হয়ে পড়ল কেন ?
উত্তর : প্রাসাদের সবাই খুব আনন্দে রয়েছে এই দৃশ্য দেখে ব্যাং খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ল। কারণ তারা পৃথিবীতে খরার প্রকোপে অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ভগবান তাদের জন্য কোনো চিন্তাভাবনা করছেন না। তারা নানান ভোজ ও আনন্দ করছেন।
৮.৬ ভগবান ও তার রক্ষীরা মৌমাছি, বাঘ, মোরগের হাতে কীভাবে নাকাল হলো ?
উত্তর : রক্ষীদের ওপর রেগে গিয়ে মৌমাছিরা হুল ফোটাতে লাগল, বাঘ তাদের খেয়ে নেবে বলে ভয় দেখাল, মোরগ তার ডানা দিয়ে ঝাপটা দিতে লাগল।
৮.৭ শিক্ষক/শিক্ষিকার সাহায্যে 'বৃষ্টি' নিয়ে প্রচলিত দুটি ছড়া ও দুটি গল্প সংগ্রহ করো।
উত্তর : ছড়া
রাত দিন ঝম্ ম্
কি সাজে সেজেছ রানি।
আননে বিজলী হাসি,
আঁচলে কেতকী-ছটা,
শিখী নাচে, ভেকে গায়,
বসুধা আনন্দ ভরে
ডুবেছে রবির ছবি
আকাশ গলিয়া পড়ে
উথলিছে গঙ্গা, পদ্মা,
মরণে রয়েছে ছেয়ে
রাতদিন ঝম ঝম
দেখেছি অনেকতর
সকাল থেকেই বৃষ্টির পালা শুরু,
আকাশ-হারানো আঁধার-জড়ানো দিন
আজকেই, যেন শ্রাবণ করেছেন পণ,
শোধ করে দেবে বৈশাখী সব ঋণ,
রিমঝিম ঝরে অঝোরে অন্ধ ধারা,
ঘনবর্ষণে আপাত-আত্মহারা
পৃথিবীতে যেন দিন নেই, রাত নেই,
স্তম্ভিত কালো মেঘ-মায়ালোকে লীন।
রাতদিন টুপ টুপ
এ কি সাজ অপরূপ !
গলায় কদম-হার,
এ আবার কি বাহার!
মেঘে গুরু গরজন,
কত করে আয়োজন!
ডুবেছে চাঁদিমা তারা,
তরল রজত ধারা।
পরাণে ধরে না সুখ,
তোমারি স্নেহের মুখ,
রাতদিন টুপ টুপ,
দেখিনি তো এত রূপ !
গল্প ১ অসুস্থ মায়ের পথ্যের জন্য রাধারানি বনফুলের মালা গেঁথে সেটি মাহেশের রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল। কিন্তু মেলায় অসম্ভব বৃষ্টি হওয়ার জন্য রাধারানির মালা কেউ কেনেনি। অন্ধকারে রাত্রে কাদার মধ্যে বাড়ি ফেরার পথে রাধারানির সঙ্গে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। ব্যক্তিটি একদিকে যেমন ছিলেন দয়ালু অন্যদিকে তেমনই উপকারী। তিনি রাধারানির সমস্ত দুঃখের কথা শুনেছিলেন এবং রাধারানিকে শুধুমাত্র যে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলেন তা নয়, নিজের প্রয়োজন না থাকলেও কেবলমাত্র রাধারানির উপকার করার জন্য তার কাছ থেকে বনফুলের মালাটিও কিনেছিলেন।
গল্প ২ আষাঢ় মাস এসেছে। বৃষ্টির কণাগুলিকে আলাদাভাবে দেখলে মনে হয় অতি ছোটো। এই একফোঁটা জলকণায় একটি জুঁই ফুলও ভিজবে না এবং একটি মল্লিকা ফুলের হৃদয়ও ভরবে না। কিন্তু অনেকগুলি জলকণা একসঙ্গে হয়ে যখন পৃথিবীতে নামে তখন পৃথিবী ভাসিয়ে দিতে পারে। একটি বৃষ্টিবিন্দু যদি একা পৃথিবীতে নামে তাহলে সূর্যের তাপে মাঝপথেই শুকিয়ে যাবে। কিন্তু অসংখ্য জলকণা যখন একসঙ্গে পৃথিবীর বুকে নামবে তখন পৃথিবীকে ভাসিয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ, ঐক্যই বল এবং যে একা সে ছোটো ও শক্তিহীন হয়ে পড়ে।
•
.
প্রশ্ন:-বাঘ যখন ভগবানের কাছে যাওয়ার কারণ ব্যাং, মৌমাছি আর মোরগের কাছে জানতে পারল তখন সে কী করল।
উত্তর : ভগবানের কাছে কেন যে ব্যাং, মৌমাছি আর মোরগ যাচ্ছে তা জানতে পেরে বাঘ তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেল, কারণ জীবজন্তুরা না খেয়ে মারা গেল সে একা বেঁচে থাকতে পারবে না।
প্রশ্ন:-অবশেষে দীর্ঘ যাত্রা শেষে তারা ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছাল” – কারা ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছাল ? পৌঁছে তারা কী দেখল?
উত্তর : ব্যাং, মৌমাছি, মুরগি আর বাঘ দীর্ঘ যাত্রা শেষে ভগবানের প্রাসাদে গিয়ে পৌঁছাল। সেখানে গিয়ে তারা নানান ভোজ ও আনন্দ-উৎসবে দেবতাদেরকে তাদের স্ত্রী আর মন্ত্রীদের মহানন্দ দেখতে পেল।
প্রশ্ন:-ভগবানের প্রাসাদে দেবতাদের স্ত্রী ও মন্ত্রীদের মহানন্দের উৎসব দেখে কে কী করল?
উত্তর : পৃথিবীতে খরা হওয়ার কারণ যে স্বর্গে দেবতাদের শুধু উৎসবে মেতে থাকা এটা জানতে পেরে ব্যাং, মৌমাছি, মুরগি আর বাঘ খুব রেগে গিয়ে ভগবানের কাছে চলল।
প্রশ্ন:- কোথায় যাওয়া অত্যন্ত ক্লান্তিকর ?
উত্তর : ভগবান থাকে অনেক দূরে। আর তার প্রাসাদে যাওয়ার রাস্তা অত্যন্ত ক্লান্তিকর।
প্রশ্ন:-ব্যাং আর মৌমাছিতে কখন দেখা হল ?
উত্তর : ব্যাং ভগবানের কাছে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে মৌমাছির সাক্ষাৎ হল।
প্রশ্ন:-ব্যাং ও মৌমাছির প্রথম সাক্ষাতে তাদের মধ্যে কোন্ দুটি বাক্য বিনিময় হল?
উত্তর : আলোচ্য গল্পটিতে প্রথম সাক্ষাৎ হওয়াতে ব্যাং-কে মৌমাছি জিজ্ঞাসা করল, 'কোথায় যাবে?' ব্যাং সঙ্গে সঙ্গে তার উত্তরে জানাল, 'ভগবানের কাছে। বড়ো খরা হে"।
প্রশ্ন:-ব্যাঙের কাছে মৌমাছি তার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে আবার ব্যাং-কে কী বলল?
উত্তর : মৌমাছি বলল, 'বেশ চলো, আমিও সঙ্গে চলি। খরায় আমারও নাকাল। জল নেই, ফুলের আকাল, মধু পাব কোথায়।'
প্রশ্ন:-ব্যাং ও মৌমাছির চলার পথে মোরগের সঙ্গে দেখা হলে সে কী বলল ?
উত্তর : ব্যাঙের কাছে মোরগ স্বর্গে যাওয়ার কথা শুনে রাগত স্বরে বলল, 'খরার ফলে সব ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দানা ছাড়া বাঁচব কী করে? চলো, আমিও যাব।' সে স্বর্গে যাওয়ার পথে ব্যাং, মৌমাছি আর মোরগের সঙ্গে কার কোথায় দেখা হল?
উত্তর : ভগবানের কাছে যাওয়ার পথে গভীর জঙ্গলের মধ্যে একটি ক্ষুধার্ত বাঘের সঙ্গে তাদের দেখা হল।
প্রশ্ন:-ভগবান তার রক্ষীদের ডাকলে মৌমাছি কী করল ?
উত্তর : ভগবান তার রক্ষীদের ডাকলে মৌমাছি তার হুল ফোটাতে লাগল রক্ষীদের মুখে।
প্রশ্ন:-রক্ষীদেরকে বাঘ খেয়ে নেবে বলে ভয় দেখাতে মুরগি কী করল ?
উত্তর : মৌমাছি ও বাঘের আক্রমণ দেখে গোলমালের মধ্যে মোরগও তার ডানা ঝাপটা মেরে রক্ষীদেরকে ভয় দেখাল।
প্রশ্ন:- কার প্রাসাদে যাওয়ার রাস্তা কেন ক্লান্তিকর ?
উত্তর : ভগবান থাকে অনেক দূরে, আর তার প্রাসাদে যাওয়ার রাস্তা অত্যন্ত ক্লান্তিকর।
প্রশ্ন:- কোন্ কোন্ বাংলা মাসে সাধারণত বৃষ্টি হয়?
উত্তর : সাধারণত বাংলা আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বৃষ্টি হয়।
সংক্ষেপে উত্তর দাও :
প্রশ্ন:-মৌমাছি কেন ব্যাঙের সঙ্গে ভগবানের কাছে যেতে চেয়েছিল ?
উত্তর : পৃথিবীতে খরা হওয়ার ফলে মৌমাছিরা খুব নাকাল হয়ে পড়েছিল। জল না থাকার জন্য ফুল ফুটছিল না। ফুল ছাড়া মৌমাছি মধু সংগ্রহ করবেই বা কোথা থেকে। তাই মৌমাছি মধু পান করার সুযোগ পাচ্ছিল না, মধু সংগ্রহ করতেও পারছিল না। এজন্য মৌমাছি ভগবানের কাছে যেতে চেয়েছিল।
প্রশ্ন:- রাভা গোষ্ঠীর গাওয়া গানের নিম্নলিখিত অংশটির অর্থ বলো।
কুরুয়া বা ক্রীড়াইতা/মাসা লাগা পুইমীন / না সানি লামাইতারে/ ইবাই মাা হাওয়াই মানা/ফৈ লীগী লীয়েয়া।
উত্তর : কুরুয়া পাখি উড়ে উড়ে কাঁদছে, বকেরা উড়ছে সার বেঁধে, মাছরাঙা বারবার ছোঁ মেরেও পায়নি মাছ – সে কি খাবে,
এদিকে মাছ নেই তো ওদিকে চল।
প্রশ্ন:- ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছে ব্যাং কী দেখল?
উত্তর : দীর্ঘ যাত্রা শেষে ব্যাং ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছল। দেখল, সেখানে সবাই ব্যস্ত নানান ভোজ ও আনন্দ-উৎসবে। তাদের স্ত্রী ও মন্ত্রীদের মহানন্দ।
বড়ো প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রশ্ন:-একবার খরার সময় বৃষ্টি না হওয়ার দরুন কী হয়েছিল?
উত্তর ঃ একবার খরার সময় বৃষ্টি না হওয়ার দরুন মানুষ, পশু, গাছপালা ধ্বংস হয়ে গেল। সব পশুরা ভাবতে লাগল কীভাবে পৃথিবীকে রক্ষা করা যায়। ব্যাং স্বেচ্ছায় ঠিক করল এর জন্য ভগবানের দ্বারস্থ হবে সে। তার কথা শুনে অন্যান্য পশু, পতঙ্গ ব্যাঙের সঙ্গী হিসেবে ভগবানের কাছে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করল। অবশেষে ভগবানের প্রাসাদে গিয়ে তারা বুঝেছিল রাজ্যে এত অভাব ও কষ্টের কারণ। সবশেষে ভগবান তাঁর মন্ত্রীদের শাস্তির ব্যবস্থা করলেন এবং ব্যাং তাদের জয়ের বার্তা নিয়ে পুকুরে নামতেই বৃষ্টি শুরু হল।
প্রশ্ন:- হিমালয়ের পাদদেশে বসবাসকারী আমাদের রাজ্যের আদি জনগোষ্ঠীর মানুষদের আনন্দময় পর্বের পরিচয় দাও।
উত্তর : পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে পাহাড়ি নদী তিস্তা, তোর্সা, রঙ্গিত ইত্যাদি নদী সবুজ বনের গা দিয়ে বয়ে চলেছে।
এই নদীগুলির আশপাশে, জালের আঁকে বাঁকে মেচ, রাভা, গারো, লেপচা আর টোটো ইত্যাদি এ রাজ্যের আদি জনগোষ্ঠী প্রায় আত্মীয়তার মতো সম্পর্ক বজায় রেখে অন্তরঙ্গ জীবনযাপন করে। এদের প্রত্যেকের একটি করে নিজস্ব ভাষা আছে, গল্প আছে, গান আছে। এই আদি জনগোষ্ঠীর মধ্যে রাভা উপজাতির জীবনে দল বেঁধে মাছ ধরতে যাওয়া এক আনন্দময় পর্ব। তারা মাছ ধরতে যাবার সময় মিলিত সুরে তাদের ভাষায় যে গান করে তার অর্থ হল, চল মাছ ধরি গিয়ে, নতুন বছরের নতুন জলে নদীর কূল ছাপিয়ে মাঠঘাট ভেসে গেছে। কুরুয়া পাখি, বক, মাছরাঙা প্রভৃতি পাখিগুলি মাছ পাচ্ছে না। তাই, এদিকে মাছ নেই তো ওদিকে যাই চল।
প্রশ্ন:-চারটি প্রাণীর স্বর্গে আগমনের প্রকৃত কারণ বুঝতে পেরে ভগবান কী করল?
উত্তর ঃ স্বর্গে চারটি প্রাণী এসে কী কারণে এমন রাগ দেখাচ্ছে তা বুঝতে পেরে ভগবান তাড়াতাড়ি তার মন্ত্রীদের ভাষা এবং তাদের গাফিলতির জন্য তিরস্কার করল।
প্রশ্ন:-ভগবান তার মন্ত্রীদের তিরস্কার করল দেখে ব্যাং কী করল ?
উত্তর ঃ ভগবান তার মন্ত্রীদের তিরস্কার করল দেখে ব্যাং গর্বিত ও উল্লসিত হয়ে সরবে অর্থাৎ গ্যাঙর গ্যাং করতে করতে তার সুখের আস্তানা পুকুরে ফিরে গেল।
প্রশ্ন:-পৃথিবীতে বৃষ্টি কখন নামে?
উত্তর ঃ পৃথিবীতে যখন ব্যাং ডাকে তখন আকাশ থেকে বৃষ্টি নামে।
প্রশ্ন:- তরাই অঞ্চল কোথায় অবস্থিত? এর পাশ দিয়ে কী কী নদী বয়ে যায়?
উত্তর : হিমালয়ের পাদদেশে তরাই অঞ্চল অবস্থিত।
তরাই অঞ্চলের পাশ দিয়ে তিস্তা, তোর্সা, রঙ্গিত ইত্যাদি নদী বয়ে যায়।
প্রশ্ন:- ভগবান মন্ত্রীদের কী করেছিল?
উত্তর : ভগবান ব্যাঙের মুখে সব শুনে মন্ত্রীদের ডেকে পাঠিয়েছিল। এরপর তাদের গাফিলাতির জন্য তিরস্কার করেছিল।